ভিসার দাম

রোমানিয়া ভিসার দাম কত?

নমস্কার বন্ধুরা, আপনাদের জন্য আজকে আমরা নিয়ে এসেছি রোমানিয়া ভিসার আবেদন ও দাম সংক্রান্ত নানান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, আজকালকার দিনে আমরা অনেকেই রোমানিয়া ভিসার আবেদন সংক্রান্ত ও দাম তথ্য জানতে চাই , তাই আপনাদের জন্য আমাদের আজকে এই বিশেষ নিবেদন যেখানে আমরা রোমানিয়া ভিসার বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আলোচনা করেছি। আসুন আর দেরি না করে এক নজরে দেখে নেয়া যাক রোমানিয়া ভিসা সম্পর্কিত তথ্য ।

রোমানিয়া ভিসার আবেদন

আপনি বেশকিছু উপায়ে ২০২৩ সালে রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। যেকোনো এজেন্সি এর মাধ্যমে, বিএমইটি এর মাধ্যমে এবং পরিচিত কারো মাধ্যমে। আপনি যদি রোমানিয়াতে ভিসার জন্য আবেদন করার পরিকল্পনা করছেন, তাহলে আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে আপনাকে প্রথমে ভিসার ধরন নির্ধারণ করতে হবে। রোমানিয়া ট্যুরিস্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা এবং অন্যান্য সহ বিভিন্ন ধরনের ভিসা অফার করে।

আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ভিসার ধরন নির্ধারণ করলে, আপনার ভিসার আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করা উচিত। এতে সাধারণত একটি সম্পূর্ণ ভিসা আবেদনপত্র, একটি বৈধ পাসপোর্ট, একটি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট ছবি, ভ্রমণ ব্যবস্থার প্রমাণ (যেমন ফ্লাইট টিকিট এবং হোটেল রিজার্ভেশন), আপনার থাকার সময় নিজেকে সমর্থন করার জন্য আর্থিক উপায়ের প্রমাণ এবং আপনার জন্য প্রয়োজনীয় কোনো অতিরিক্ত নথি অন্তর্ভুক্ত থাকে।

তারপর আপনার ভিসার আবেদন আপনার দেশের নিকটতম রোমানিয়ান দূতাবাস বা কনস্যুলেটে জমা দিতে হবে। ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়াকরণের সময় পরিবর্তিত হতে পারে, তাই এটি সুপারিশ করা হয় যে আপনি আপনার পরিকল্পিত ভ্রমণের তারিখের আগেই আবেদন করুন।

রোমানিয়ার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, আপনি রোমানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে যেতে পারেন বা নিকটতম রোমানিয়ান দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

বর্তমানে ঢাকাতে রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কিছু রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে এ সমস্ত রিক্রুটিং এজেন্সি রোমানিয়া নিয়োগকর্তাদের থেকে অ্যাপ্রভাল নিয়ে আসে বাংলাদেশি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অ্যাপ্রভাল নেওয়ার পরেই সে সমস্ত রিক্রুটিং এজেন্সি রোমানিয়াতে কাজের ভিসা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং তারা লোক পাঠাতে পারে। তবে এক্ষেত্রে রিক্রুটিং এজেন্সিকে বিশ্বাস করা যাবে না এক্ষেত্রে তাদের লাইসেন্স নাম্বার সহ আর এল নাম্বার ফলো করতে হবে যদি এগুলো থাকে তাহলে সেই সমস্ত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে রোমানিয়াতে যাওয়া যাবে।

রোমানিয়া যেতে যেসব কাগজপত্রের প্রয়োজন

  • অরজিনাল পাসপোর্ট (অবশ্যই পাসপোর্ট এর মেয়াদ ছয় মাসের উপরে থাকতে হবে)
  • ভিসা আবেদন ফরম
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ফটোকপি
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট অরজিনাল কপি
  • ভিসা বুকিং ও টিকিট কনফার্ম করতে হবে।

অনেকে রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট পেতে কত দিন লাগে সেটি সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। এটি সম্পর্কে পুরোপুরি সঠিক ভাবে বলা কষ্টকর। এটি সাধারণত রোমানিয়াতে আপনি যে কোম্পানিতে ওয়ার্ক পারমিট পেতে আবেদন করছেন তাদের ওপর নির্ভর করে।

সাধারণত আনুমানিক ৩০ দিনের মত সময় লাগে রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট পেতে। তবে বলে রাখা ভালো যে, ৩০ দিন সময় এটি কোন অফিশিয়াল সময় নয়। রোমানিয়া সাধারণত ৪ ধরনের ভিসার মাধ্যমে যাওয়া যায় সেগুলো হল টুরিস্ট, মেডিকেল, স্টুডেন্ট এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। তবে, রোমানিয়াতে সাধারণত স্টুডেন্ট এবং ওয়ার্ক পারমিট এই দুটি ভিসায় বেশি যাওয়া হয় বাংলাদেশ থেকে।

আরো পড়ুন:- কুয়েতের ভিসার দাম কত?

রোমানিয়া ভিসার দাম কত?

রোমানিয়া ভিসার দাম

রোমানিয়ার ভিসার আনুমানিক দাম হল টুরিস্ট ৩ লক্ষ ৫০ হাজার, মেডিকেল ৪ লক্ষ টাকা, স্টুডেন্ট ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। তবে, বিভিন্ন জিনিসের ওপর টাকার এই পরিমাণ নির্ভর করে। রোমানিয়া ভিসা দাম পরিবর্তনশীল হতে পারে, সেই জন্য আমরা নিশ্চিত করতে পারি না কত টাকা।

ভিসা দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচে রোমানিয়া বাংলাদেশ দূতাবাসের ঠিকানা দেওয়া হল ।

  • Embassy of Romania in Dhaka, Bangladesh
  • House No. 14, Road No. 137,
  • Gulshan 1, Dhaka 1212, Bangladesh
  • Phone: (+880) 2 989 6402
  • Email: romembdhaka@yahoo.com

সমাপ্তি

আশা করছি বন্ধুরা আপনারা রোমানিয়া ভিসা সম্পর্কিত নানান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন, এইরকম বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে আমাদের সাইট ভিজিট করতে ভুলবেন না ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *